চুয়াডাঙ্গায় তরুণ প্রজন্মের মাঝে জ্ঞানচর্চা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের লক্ষ্যে আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াইয়ের কণ্ঠস্বর ও বিপ্লবী জুলাই যোদ্ধা ‘ওসমান হাদি স্মৃতি পাঠাগার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ সাহেদ প্যালেসে এক মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলার সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সভায় জেলার বিভিন্ন স্তরের তরুণ সমাজকর্মী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সভায় পাঠাগারের রূপরেখা এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বক্তারা বলেন, একটি সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। ওসমান হাদি স্মৃতি পাঠাগার কেবল সাধারণ পাঠাগার হিসেবে নয়, বরং এটি হবে তরুণদের চিন্তার খোরাক জোগানোর একটি প্ল্যাটফর্ম। পাঠাগারটির অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘এসো চুয়াডাঙ্গা জানি’ নামক একটি বিশেষ কর্নার। এই বিভাগে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বরেণ্য ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে গবেষণামূলক কাজ ও বই সংরক্ষিত থাকবে।
সভায় উপস্থিত আসলাম হোসেন বলেন, ‘ওসমান হাদি যে ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সেই চিন্তা ও কর্ম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই এই পাঠাগারের মূল লক্ষ্য। পাঠাগারটি হবে মুক্তবুদ্ধি চর্চা এবং ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ গঠনের মূল কেন্দ্র।’
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লেখক মাসুদ রানা, তিনি পাঠাগারের জন্য দ্রুত স্থান নির্বাচন ও বই সংগ্রহের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির এই যুগে তরুণদের আবার বইয়ের পাতায় ফিরিয়ে আনাই হবে এই পাঠাগারের মূল সাফল্য।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলার সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যসচিব রনি বিশ্বাস, ফেস দ্যা পিপলের সাংবাদিক, মানারত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব ও তৌফিক, ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মাসুম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তুহিন আহমেদ, আশিক প্রমুখ। খুব শিগগিরই পাঠাগারের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম এবং গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হবে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
সমীকরণ প্রতিবেদন