চুয়াডাঙ্গায় গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা আড়াইটার দিকে কয়েক মিনিটের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না কোনো তেজ। এদিকে ভোর থেকেই কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি। সূর্যের দেখা না মেলায় জনজীবন কার্যত জবুথবু হয়ে পড়ে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনপদের মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
এদিকে সকাল থেকে শীতে কর্মজীবী মানুষ বিপাকে পড়েন, দৈনন্দিন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা কাজ করতে গিয়ে চরম কষ্টের সম্মুখীন হন। বাজারে লোকজন কম থাকায় পরিবহন চালকেরা ভাড়াও তেমন পাননি বলে জানান। এছাড়া শিশুদের মধ্যে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়েছে, ওষুধের দোকানে ঠাণ্ডা-কাশির ওষুধের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় কৃষকরা জানিয়েছেন, ‘শীতের কারণে ধানের চারা ও শাকসবজির খেতে কুয়াশার প্রভাব পড়ছে। শ্রমিক আক্কসা আলী বলেন, ভোর থেকেই প্রচুর শীত। আমরা ভোর ৫টার দিকে কাজে এসেছি। সূর্যের দেখা নেই, তারপরও কাজ করছি। আমাদের তো কাজ করে খেতে হবে।’
অটোরিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে লোকজন কম, তাই ভাড়াও কম। ঠাণ্ডায় বাজারে বসে থাকাও কষ্টকর। ওষুধ ব্যবসায়ী রাশেদ বলেন, শিশুদের ঠাণ্ডা-কাশির ওষুধ বিক্রি বেড়েছে। শীতের কারণে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। কৃষকেরা বলেন, কুয়াশায় ধানের চারা ঠিকমতো বেড়ে উঠছে না। শাকসবজির পাতায় পানি জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। আর সকাল ৯টায়ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, আমাবস্যা ও কুয়াশার কারণে আজ সূর্যের দেখা মেলেনি। এটি শৈত্যপ্রবাহ নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক